loader image

বিশেষ্য পদ

বিশেষ্য পদ

নামবাচকজাতিবাচক
বস্তুবাচকসমষ্টিবাচক
ভাববাচকগুনবাচক

সংজ্ঞা বা নামবাচক বিশেষ্য
যে পদ দ্বারা কোনো ব্যক্তি, ভৌগোলিক স্থান বা সংজ্ঞা এবং গ্রন্থ বিশেষের নাম প্রকাশিত হয়, তাকে সংজ্ঞা বা নামবাচক বিশেষ্য বলে। যথা
ক. ব্যক্তির নাম ঃ নজরুল, ওমর, আনিস, মাইকেল।
খ. ভৌগোলিক স্থানের নাম ঃ ঢাকা, দিল্লি, লন্ডন, মক্কা।
গ. ভৌগোলিক সংজ্ঞা ঃ (নদী, পর্বত, সমুদ্র ইত্যাদি) মেঘনা, হিমালয়, আরব সাগর।
ঘ. গ্রন্থের নাম: ‘গীতাঞ্জলি’, ‘অগ্নিবীণা’। ‘দেশেবিদেশে’, ‘বিশ্বনবি’।


জাতিবাচক বিশেষ্য
যে পদ দ্বারা কোনো এক জাতীয় প্রাণী বা পদার্থের সাধারণ নাম বোঝায়, তাকে জাতিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন- মানুষ, গরু, পাখি, গাছ, পর্বত, নদী, ইংরেজ।


বস্তুবাচক বা দ্রব্যবাচক বিশেষ্য
যে পদ দ্বারা কোনো উপাদানবাচক পদার্থের নাম বোঝায়, তাকে বস্তুবাচক বা দ্রব্যবাচক বিশেষ্য বলে। এই জাতীয় বস্তুর সংখ্যা ও পরিমাণ নির্ণয় করা যায়। যথা- বই, খাতা, কলম, থালা, বাটি, মাটি, চাল, চিনি, লবণ, পানি ইত্যাদি।


সমষ্টিবাচক বিশেষ্য
যে পদ দ্বারা বেশ কিছু সংখ্যক ব্যক্তি বা প্রাণীর সমষ্টি বোঝায়, তা-ই সমষ্টিবাচক বিশেষ্য। যথা- সভা, জনতা, সমিতি, পঞ্চায়েত, মাহফিল, ঝাঁক, বহর, দল ইত্যাদি।


ভাববাচক বিশেষ্য
যে বিশেষ্য পদে কোনো ক্রিয়ার ভাব বা কাজের ভাব প্রকাশিত হয়, তাকে ভাববাচক বিশেষ্য বলে। যথা- গমন (যাওয়ার ভাব বা কাজ) দর্শন (দেখার কাজ), ভোজন (খাওয়ার কাজ), শয়ন (শোয়ার কাজ), দেখা, শোনা ইত্যাদি।


গুণবাচক বিশেষ্য
যে বিশেষ্য দ্বারা কোনো বস্তুর দোষ বা গুণের নাম বোঝায়, তা-ই গুণবাচক বিশেষ্য। যথা- মধুর মিষ্টত্বের গুণ- মধুরতা, তরল দ্রব্যের গুণ – তারল্য, তিক্ত দ্রব্যের দোষ বা গুণ – তিক্ততা, তরুণের গুণ – তারুণ্য ইত্যাদি। বিশেষ্য পদ


বিশেষণ পদ
যে পদ অন্য যে কোন পদের দোষ, গুণ, অবস্থা, সংখ্যা, পরিমাণ ইত্যাদি প্রকাশ করে, তাকে বিশেষণ পদ বলে।
চলন্ত গাড়ি : বিশেষ্যের বিশেষণ। করুণাময় তুমি : সর্বনামের বিশেষণ।
দ্রুত চল : ক্রিয়া বিশেষণ।
শ্রেণিবিভাগ- বিশেষণ দু ভাগে বিভক্ত। যথা-
১. নাম বিশেষণ ও
২. ভাব বিশেষণ।


নাম বিশেষণ
যে বিশেষণ পদ কোনো বিশেষ্য বা সর্বনাম পদকে বিশেষায়িত করে, তাকে নাম বিশেষণ বলে। যথা-
বিশেষ্যের বিশেষণ: সুস্থ-সবল দেহকে কে না ভালোবাসে?
সর্বনামের বিশেষণ: সে রূপবান ও গুণবান।


নাম বিশেষণের প্রকারভেদ-
ক. রূপবাচক ঃ নীল আকাশ, সবুজ মাঠ, কালো মেঘ।
খ. গুণবাচক ঃ চৌকস লোক, দক্ষ কারিগর।
গ. অবস্থাবাচক ঃ তাজা মাছ, রোগা ছেলে, খোঁড়া পা।
ঘ. সংখ্যাবাচক ঃ হাজার লোক, দশ দশা, শ টাকা।
ঙ. ক্রমবাচক ঃ দশম শ্রেণি, সত্তর পৃষ্ঠা, প্রথমা কন্যা।
চ. পরিমাণবাচক ঃ বিঘাটেক জমি, পাঁচ শতাংশ ভূমি। হাজার টনী জাহাজ, এক কেজি চাল, দু’কিলোমিটার রাস্তা।
ছ. অংশবাচক ঃ অর্ধেক সম্পত্তি, ষোল আনা দখল, সিকি পথ।
জ. উপাদানবাচক ঃ বেলে মাটি, মেটে কলসি, পাথুরে মূর্তি।
ঝ. প্রশ্নবাচক ঃ কত দূর পথ? কেমন অবস্থা?
ঞ. নির্দিষ্টতাজ্ঞাপক ঃ এই লোক, সেই ছেলে, ছাব্বিশে মার্চ।

বিশেষ্য পদ

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top